ফয়েজ আহমদ বলেছেন, নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা প্রদান ইসির দায়িত্ব নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৭:২১ অপরাহ্ণ
ফয়েজ আহমদ বলেছেন, নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা প্রদান ইসির দায়িত্ব নয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নাগরিকদের যে উপাত্ত রয়েছে, তা মানসম্মত নয় এবং নাগরিকদের উপাত্ত সংরক্ষণ ও সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ইসির নয়। তবে ইসি যে দায়িত্ব পালন করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি আরও বলেন, উপাত্ত কর্তৃপক্ষের অধীনে উপাত্ত সংরক্ষিত হলে ইসির দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন হবে না। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিশ্বের কোথাও নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের উপাত্ত সংরক্ষণ করে না, কিন্তু বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে ইসি যে দায়িত্ব নিয়েছে, তার জন্য তারা প্রশংসা পাবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান ইসি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে উপাত্ত সুরক্ষা দেওয়ার মতো যোগ্য কিনা, তা প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের মূল দায়িত্ব ভোটাধিকার রক্ষা এবং বাস্তবায়ন করা, তবে উপাত্ত সংরক্ষণ ইসির কাজ নয়। যদি উপাত্ত কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে ইসির ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তারা মানসম্মত ডেটা পাবে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইন এখনও হয়নি, যদিও পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে আইনটির খসড়া তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সরকার ডিজিটাল রূপান্তরের পথনির্দেশ তৈরি করবে এবং একটি উপাত্ত কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করবে, যা সকল ডেটা ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ইসি ছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে নাগরিকদের ডেটাবেজ রয়েছে, তবে এগুলোর মধ্যে আন্তক্রিয়াশীলতা (ইন্টার-অপারেবিলিটি) নেই। মানুষের তথ্য এখন ডার্ক ওয়েবেও পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান সরকার নাগরিকদের উপাত্তের নিরাপত্তা ও মানের দিকে নজর দিচ্ছে।

ফয়েজ আহমদ আরও জানান, এখন থেকে সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য কোথাও নাগরিকদের উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে না এবং ডেটা হালনাগাদ করা হবে। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।