রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় গাম্বিয়ার অব্যাহত সমর্থন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় গাম্বিয়ার অব্যাহত সমর্থন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা সম্পর্কে অবহিত করেছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা। তিনি জানান, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তার দেশ অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই মামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়া এই মামলাকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে চায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, গাম্বিয়ার জনগণ ও সরকার এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে গাম্বিয়ার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই মামলার সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গাম্বিয়াকে সর্বোচ্চ সমর্থন দেওয়া হবে।

মামাদু তাঙ্গারা অধ্যাপক ইউনূসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্ব রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় অধ্যাপক ইউনূসের পাশে থাকবে এবং গাম্বিয়ার জনগণের কাছেও তিনি পরিচিত একজন নেতা।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের নতুন দায়িত্বের জন্য শুভকামনা জানান এবং তার মহৎ কাজ ও চ্যালেঞ্জিং যাত্রার সফলতা কামনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ঢাকার ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম, বাস্তুচ্যুতদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, এবং রাখাইনে মানবিক সাহায্য আরও জোরদার করার বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নতুন শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার ওপরও গুরুত্ব দেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে গভীর বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গাম্বিয়াকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা চাওয়া হচ্ছে।

এছাড়া, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি সইয়ের বিষয়েও দুই নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং সহিংসতা-প্রবণ অঞ্চলে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।

বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।