১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন: ২ কোটি ২৬ লক্ষ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:২০ অপরাহ্ণ
১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন: ২ কোটি ২৬ লক্ষ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

দেশের সকল শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অপুষ্টি দূরীকরণ ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে সারাদেশের ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লক্ষ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

মন্ত্রণালয় অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছে, যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু রয়েছে, তারা নিকটস্থ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ শুধু অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না, বরং অনূর্ধ্ব পাঁচ বছরের শিশুদের মৃত্যুর হার এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে দুইবার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছে। এর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, কিন্তু তাদের একটি অংশ এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা সম্ভব, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাদের সুস্থ রাখা যায়। এই সফলতা ধরে রাখতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে।