হামজা চৌধুরীর গ্রামে আনন্দের উল্লাস, সিলেটে তোরণ নির্মাণ

সিলেটের বাহুবল এলাকার এক তরুণ সাংবাদিক জানালেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন হামজা চৌধুরী কে, যার উত্তরে সেই সাংবাদিক বলেন, “এতো বড় একজন ফুটবলার আমাদের সন্তান সিলেটে আসছেন, অথচ আপনি তাকে চেনেন না?” তিনি আরও জানান, “দেশের সবাই জানেন হামজাকে।” এরপর সেলফিতে মোটরসাইকেল ছুটে চলে হামজার বাড়ির দিকে।
হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ। সিলেট মহাসড়ক থেকে তার গ্রাম স্নানঘাট পর্যন্ত পথে পথে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ জানাচ্ছেন, “ঘরের পোলা ঘরে আইতাছে, আমরা তারে দেখতে অপেক্ষা করতাছি।” এমন উচ্ছ্বাস এবং সম্মান বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি।
হামজা আসবেন তার স্ত্রী অলিভিয়া এবং তিন সন্তান নিয়ে। তাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বাড়ির সজ্জা করা হচ্ছে যেন সবাই তাদের স্বাধীনভাবে আসা-যাওয়া করতে না পারে। হামজার বাবা, দেওয়ান মোরশেদ বলেন, “আমাদের বাড়ির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে, যাতে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।”
হামজা এই প্রথমবারের মতো তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ আসছেন। তাদের জন্য পুরো বাড়ি সাজানো হচ্ছে। হামজার স্ত্রী, অলিভিয়া মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তিনি অনলাইনে সন্তানদের ইসলামের শিক্ষা দেন। হামজা ১৭ মার্চ সিলেট বিমানবন্দরে আসবেন এবং ১৮ মার্চ ঢাকায় ফিরে যাবেন।
আপনার মতামত লিখুন