ঈদযাত্রায় কেমন থাকবে আবহাওয়া?

মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আসন্ন। সাধারণত ঈদের ছুটিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করে। তাই ঈদের সময়ের আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল থাকে সবার।
এ বছর চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর হতে পারে। মার্চের শেষভাগ বসন্তের শেষ সময় হলেও তখন কালবৈশাখীর মৌসুম শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৩ মার্চের পর থেকে দেশের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে এবং ঈদের সময়ও গরম আবহাওয়া বিরাজ করবে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, ঈদের দিনও গরমের প্রবণতা থাকবে, তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। যদিও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হতে পারে, তবে গরমের অনুভূতি কমবে না। এ সময় কালবৈশাখীর প্রভাব দেখা যেতে পারে, তবে এই ধরনের ঝড় খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়, তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। সাধারণত কালবৈশাখী ফর্ম হওয়ার ৩০ মিনিট আগে পূর্বাভাস নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এরপর থেকে গরমের তীব্রতা বাড়বে।
মার্চের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুইটি মৃদু বা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে সার্বিকভাবে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে, যা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুরের রাজারহাটে রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
যারা ঈদের ছুটিতে যাত্রা করবেন, তাদের জন্য আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। অতিরিক্ত গরমের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা ও সর্তক থাকা দরকার। এছাড়া, আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে আবহাওয়ার সর্বশেষ আপডেট অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন