গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন শনিবার (২২ মার্চ) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিশনের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ প্রতিবেদনটির মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অনিয়মের কারণে এটি দুর্বল হয়েছে। গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে, মালিকরা কীভাবে মালিক হয়েছেন তা অজানা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।”
সরকার গত বছরের নভেম্বরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করা। কমিশনের কাজ ছিল মতবিনিময় ও জরিপের মাধ্যমে জনগণের মতামত সংগ্রহ করে সুপারিশ তৈরি করা।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—
- গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
- শামসুল হক জাহিদ, সম্পাদক, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
- আখতার হোসেন খান, সচিব, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)
- সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
- ফাহিম আহমেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যমুনা টেলিভিশন
- জিমি আমির, আহ্বায়ক, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক
- মোস্তফা সবুজ, বগুড়া প্রতিনিধি, দ্য ডেইলি স্টার
- টিটু দত্ত গুপ্ত, উপসম্পাদক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
- আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি
এ কমিশনের প্রতিবেদন জমার নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ। এর আগে সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গণমাধ্যমসহ পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন