সংবিধানে বহুত্ববাদ বাতিল ও ইসলামী বিধান সংযুক্তির দাবি খেলাফত মজলিশের

খেলাফত মজলিশ সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ যুক্ত করার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে এবং ইসলামের বিরোধী কোনো আইন করা যাবে না—এমন বিধান সংবিধানে সংযুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে দলটির মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের এ কথা জানান।
খেলাফত মজলিশ গণপরিষদের মাধ্যমে নয়, বরং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। মহাসচিবের মতে, “সংবিধান সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা যায়, প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের মতামত নেওয়া যেতে পারে। আমরা গণপরিষদের পক্ষে নই, প্রয়োজনীয় সংস্কার ১০ মাসেই করা সম্ভব।”
তিনি জানান, কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৪০টিতে তারা একমত, ১০টিতে দ্বিমত এবং ১৬টিতে আংশিকভাবে একমত হয়েছেন। তাদের মতে, “সংবিধানে মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে, আর বহুত্ববাদের কোনো প্রয়োজন নেই। গণতন্ত্রই যথেষ্ট, এতে সমাজে কোনো বিভেদ থাকবে না।”
সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় দলটি নারীদের জন্য ৪০০ আসনে সরাসরি ভোটের দাবি জানিয়েছে এবং সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। এছাড়া, উচ্চকক্ষে (সিনেট) ১ শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
সংলাপে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গ উঠলে মহাসচিব জানান, “ফ্যাসিবাদী সরকার ও তাদের দোসরদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তাদের বিচার করতে হবে, বিচারে নিরপরাধ প্রমাণিত হলে তারা রাজনীতিতে ফিরতে পারে। তবে এখন তাদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।”
খেলাফত মজলিশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের, যেখানে আরও সাতজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন