হাসিনার বিরুদ্ধে জনরোষের ব্যাপারে ভারত সচেতন ছিল, তবে হস্তক্ষেপের সুযোগ সীমিত ছিল: জয়শঙ্কর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১:১৬ অপরাহ্ণ
হাসিনার বিরুদ্ধে জনরোষের ব্যাপারে ভারত সচেতন ছিল, তবে হস্তক্ষেপের সুযোগ সীমিত ছিল: জয়শঙ্কর

ভারত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনরোষ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সম্পর্কে ভারত সচেতন ছিল, তবে তারা তাতে সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়নি। নয়াদিল্লিতে এক পরামর্শক কমিটির বৈঠকে তিনি বলেন, ভারত হাসিনাকে শুধুমাত্র পরামর্শ দিতে পারত, কিন্তু তাকে প্রভাবিত করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা তাদের ছিল না।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পক্ষের মতো ভারতও বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল। তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল।

এ বৈঠকে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও শেখ হাসিনাকে দিল্লি আশ্রয় দেওয়ায় দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন রয়ে গেছে।

এদিকে, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের অনুরোধ এসেছে এবং সেটি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

বৈঠকে কয়েকজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তোলা হয়েছে এবং এ নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকায় ভারত এখন বিমসটেককে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পাকিস্তান ও চীন বিষয়ে ভবিষ্যতে পৃথকভাবে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।