বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫৪তম বার্ষিকীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২৬ মার্চের এ দিবসটি উদযাপন করা হবে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যরা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন।
সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে কোনো আলোকসজ্জা করা হবে না।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এবং অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডুর মতো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে উন্মুক্ত থাকবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
আপনার মতামত লিখুন