মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সরকারের অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং অর্থনীতির অন্যান্য সূচকও ধীরে ধীরে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯.৩২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা গত ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী জুন মাসের মধ্যে এটি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা দেশের জনগণকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং ঈদ-উল-ফিতরের আগাম শুভেচ্ছাও জানান। তিনি বলেন, এবারের ঈদ আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় হয়ে উঠুক, এটাই তার কামনা।
রমজান ও ঈদ উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। রমজান মাসজুড়ে সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর রমজানে দ্রব্যমূল্য আগের তুলনায় কমেছে এবং জনগণ স্বস্তি পেয়েছে। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি এনে দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীর সৈনিকের ভূমিকা পালন করছেন। তাদের জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া সহজ করা এবং দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
এছাড়া, ভবিষ্যতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
আপনার মতামত লিখুন