ঈদের পর ঢাকার কাঁচাবাজারে ভিন্ন চিত্র, পণ্যমূল্যে উঠানামা

ঈদুল ফিতরের পরদিন রাজধানীর অন্যতম বড় কাঁচাবাজার কাওরান বাজারে শুক্রবারের চিরচেনা ভিড়ের দৃশ্য ছিল অনুপস্থিত। বাজার ছিল অনেকটাই ফাঁকা। অনেক দোকানপাটও ছিল বন্ধ। একই চিত্র দেখা গেছে শান্তিনগর ও নিউ মার্কেট এলাকাতেও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে এখনো অনেকেই রাজধানীতে ফেরেননি, আবার অনেক দোকানদারও ঈদ করতে গিয়েছেন গ্রামের বাড়ি। ফলে বাজারে কেনাবেচা কম হচ্ছে।
ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ টাকা কম। গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় নেমেছে, যেখানে ঈদের আগে তা উঠেছিল ৮৫০ টাকা পর্যন্ত।
অন্যদিকে, বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। টম্যাটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দামের এই বৃদ্ধি। তবে আশা করা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বাড়লে দামও কিছুটা কমবে।
মাছের বাজারেও দেখা গেছে দাম বৃদ্ধির প্রভাব। চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় পাঙাশ ও তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ও কাতল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং চিংড়ি ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ঈদের ছুটি শেষ হলেও বাজার এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ও পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে উঠানামা দেখা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন