গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়া, মুসলিম দেশগুলোর প্রতি হস্তক্ষেপের আহ্বান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:২৮ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়া, মুসলিম দেশগুলোর প্রতি হস্তক্ষেপের আহ্বান

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সরকারের দীর্ঘমেয়াদী ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে মুসলিম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে জিহাদের আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স (IUMS)। ১৪ জন বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিতের সমর্থনে ঘোষিত এই ফতোয়ায় বলা হয়েছে, গাজার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ ইসলামিক নীতিমালার চোখে এক ভয়াবহ গণহত্যা, যা রোধে মুসলিম দেশগুলোর দায়িত্ব রয়েছে।

সংস্থাটির মহাসচিব আলী আল-কারাদাঘি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, মুসলিম দেশগুলোকে এখনই সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে, নইলে গাজার নিরীহ মানুষের ওপর যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে, তা প্রতিরোধে ব্যর্থতা ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ফতোয়ায় মোট ১৫টি দফা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে তেল আবিবের সঙ্গে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই যুদ্ধ থামাতে আমেরিকান মুসলমানদের ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়েছে।

আলী আল-কারাদাঘি, যিনি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা হিসেবে পরিচিত, আরও বলেন, গাজার মুসলমানদের নির্মূলের লক্ষ্যে কাফের শক্তিকে কোনো ধরনের সাহায্য দেওয়া ইসলামী দৃষ্টিকোণে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি অস্ত্র বিক্রি, পরিবহন কিংবা জল, স্থল, বা আকাশপথ ব্যবহারে সহযোগিতা করাও গর্হিত কাজ। এই কারণে IUMS স্পষ্টভাবে দখলদার শত্রুর বিরুদ্ধে গাজার আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথ অবরোধের দাবিতে ফতোয়া জারি করেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬০৯ জন ছাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই প্রেক্ষাপটে গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।