ট্রাম্পের মন্তব্য ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ: অভিযোগ ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়ো। সম্প্রতি ফরাসি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টির প্রাক্তন নেত্রী ও তিনবারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মারিন লে পেনকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ‘ফ্রি মেরিন লে পেন!’ লিখে তাকে মুক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি লে পেনকে ‘ডাইনি হান্ট’-এর শিকার বলেও উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরাসি সাময়িকী লে প্যারিসিয়েন–এ শনিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বায়োর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি ট্রাম্পের মন্তব্যকে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখেন? উত্তরে বায়ো বলেন, “হ্যাঁ, এবং এই হস্তক্ষেপ এখন বিশ্বের জন্য একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আজ যা কিছু ফ্রান্সে ঘটে, তা ওয়াশিংটন পর্যন্ত পৌঁছে যায়।”
তিনি অতীতের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেন, দীর্ঘ তিন-চতুর্থাংশ শতাব্দী ধরে ফ্রান্সসহ বিশ্বের বহু দেশ গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের আদর্শে বিশ্বাস করে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রও ছিল স্বাধীনতার জোটের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু এখন সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্যারিসের একটি আদালত লে পেনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়, যার মধ্যে দুটি বছর স্থগিত এবং বাকি দুই বছরের সাজা তাকে গৃহবন্দী করে রাখবে। এ ছাড়াও, তার ওপর পাঁচ বছরের রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, যার ফলে তিনি ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সহকারীদের কাজের অর্থায়নের জন্য নির্ধারিত তহবিল ব্যবহার করে ফ্রান্সের কর্মীদের বেতন দিয়েছিলেন। যদিও লে পেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন