ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও নেপাল-ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব নেই: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪০ অপরাহ্ণ
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও নেপাল-ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব নেই: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না—এমনটাই জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশকে দেওয়া দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরে তীব্র জট, লজিস্টিকস সমস্যাসহ অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ হচ্ছিল। এতে ভারতের রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

৮ এপ্রিল ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) এক সার্কুলারের মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেয়। এতে বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় সীমান্ত ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানির অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। তবে, ইতোমধ্যে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করা পণ্য আগের নিয়ম অনুযায়ী গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও কৌশলগত বিবেচনা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও বাংলাদেশে চীনা সহায়তায় শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি কৌশলগত স্থাপনার পরিকল্পনাও এই সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে, লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার এক সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্তব্যটিকে ‘‘আপত্তিকর, উসকানিমূলক’’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে স্পষ্ট করেছে যে, বাংলাদেশের পণ্য এখনও নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি করতে পারবে—এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।