ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন: অভিযুক্ত এখনো অধরা, পুলিশের তদন্তে ধীরগতি

বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৈরি ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ এবং ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার দুই দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম-পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার অভিযান এখন আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ, অভিযুক্ত আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন যে, পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা শুরুর আগেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার সম্ভব হবে। তবে উৎসব শেষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্তও পুলিশ কোনো অগ্রগতির তথ্য জানাতে পারেনি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত যুবককে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। জানা গেছে, তিনি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের বাসিন্দা ছিলেন। অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরাও ভিডিও দেখে ধারণা করছি যে, ওই যুবকই হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বর্ষবরণ উপলক্ষে তৈরি প্রতীকগুলো পোড়ানোয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্কৃতি অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এখন সবাই অপেক্ষায় রয়েছে—অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জবাবদিহির আওতায় আনার।
আপনার মতামত লিখুন