যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট, গণতন্ত্র ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:২৪ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট, গণতন্ত্র ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

আগামী বুধবার ভোরে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রথম উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফর। সফরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, রোহিঙ্গা সংকট, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক আরোপসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো আলোচনায় আসবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, প্রথমে ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক। পরে আসবেন পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন।

সফরের শুরুতেই মার্কিন দূতাবাসে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। এরপর তারা পর্যায়ক্রমে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে, বৃহস্পতিবার, তারা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হতে যাচ্ছে। আলোচনায় প্রাসঙ্গিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক নীতির বিষয়টিও আসতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।

নিকোল চুলিকের সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি জানতে চাইবেন, এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারে। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকট এবং ওই দেশের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে। বর্তমানে জান্তা সরকার মিয়ানমারের বেশিরভাগ অংশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, ফলে সেখানে মাদক চোরাচালান, মানবপাচার, অস্ত্র ও অপহরণের মতো কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটেই অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরে পুরো পরিস্থিতি গুরুত্ব পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।