এই মাসেই ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা

চলতি এপ্রিল মাসেই ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। শনিবার (১৯ এপ্রিল) টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের (টিআরএনবি) আয়োজনে “ইন্টারনেট সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়” শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান অত্যন্ত নিকৃষ্ট হলেও এর মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তাই এখন ইন্টারনেটকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া দরকার যেখানে এটি কোনো সরকার ইচ্ছামতো বন্ধ করতে না পারে। সেজন্যই চলতি মাসে পাশ হতে যাওয়া সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্সে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যেই এটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স জটিলতা নিরসন, পরিচালন ব্যয় হ্রাস এবং অ্যাকটিভ শেয়ারিং ব্যবস্থার দাবিও জানান। এ সময় আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন ব্যান্ডউইথ ১০ এমবিপিএস করা হবে এবং ৫ এমবিপিএস প্যাকেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, সরকারের ঘোষিত ২০ এমবিপিএস মান ভবিষ্যতে অর্জন করা সম্ভব না হলেও তারা আরও উন্নত সেবা দিতে আগ্রহী।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী জানান, ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য আগে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া হতো, যা এখন থেকে বন্ধ করা হবে। ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য লাইসেন্সের পরিবর্তে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহের সুযোগ তৈরি করা হবে। একটি ফিক্সড টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে আরও বলেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট সেবার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন