যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নেবে এবং সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন এই বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চায়, যাতে শ্রম পরিস্থিতি, শ্রম আইন এবং মেধাস্বত্ব আইনের পরিবর্তনের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উল্লেখ থাকতে হবে।
বুধবার ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সকালে আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনায় লুৎফে সিদ্দিকী বাংলাদেশের পক্ষ এবং ব্রেন্ডন লিঞ্চ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন।
যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ থেকে আরও পদক্ষেপের কথা শুনতে চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বাংলাদেশ এই বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ জানায়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনায় বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে তুলা, সয়াবিন এবং এলএনজি আমদানির বৃদ্ধি, এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পণ্য আমদানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, বাণিজ্য-ঘাটতি একেবারে কমে যাবে এমন আশা করা সম্ভব নয়, তবে বাংলাদেশ যদি দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়, তবে সুরাহা সম্ভব হবে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, কাজের পরিবেশের উন্নতি, এবং মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়টি কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন