পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫: জনবান্ধব ও আধুনিক পুলিশিংয়ের প্রত্যয়

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ আজ ২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করবেন এবং কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেবেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন ইউনিট তাদের চ্যালেঞ্জ, পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম উপস্থাপন করবে।
পুলিশ সপ্তাহকে ঘিরে বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জনমনে আস্থা ফেরাতে পুলিশ সদস্যদের আরও জনবান্ধব করে গড়ে তোলা, লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো এবং গবেষণার পরিধি বিস্তারের মতো একাধিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিট যেমন সিআইডি, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিট পৃথকভাবে তাদের কার্যক্রম ও পরিকল্পনার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, এবারের পুলিশ সপ্তাহে পুলিশের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হবে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে—স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে জনসাধারণের জন্য কমপ্লেইন সেল এবং পুলিশের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন, এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা, স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠন, বিভাগীয় হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহসহ একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, দীর্ঘদিন একই পদে কর্মরত সদস্যদের অবসরে যাওয়ার সময় সুপারনিউমারারি পদোন্নতি এবং মরদেহ দাফনের জন্য আর্থিক বরাদ্দের ব্যবস্থা।
এছাড়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা, নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানও এই সপ্তাহের অংশ। শেষ দিনে বার্ষিক পুনাক সমাবেশ, আনন্দ মেলা এবং পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির স্টলের পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে পুলিশ সপ্তাহের সমাপ্তি ঘটবে। পুলিশের এই কর্মসূচি শুধু বাহিনীর দক্ষতা ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন নয়, বরং জনসচেতনতা ও জনগণের আস্থা অর্জনের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন