বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি: সেমিনার ও সমাবেশ ৯ মে থেকে শুরু

বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল একত্রে দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর বিভাগে ভাগ করে একটি সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

প্রথম দিন, ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তরুণরা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করবে, যেমন—কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, নগরায়ন, প্রযুক্তি এবং তারুণ্যের ক্ষমতায়ন। সেমিনারের উদ্দেশ্য হলো, তরুণদের চিন্তা ও মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে একটি আধুনিক, মানবিক এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন করার চিন্তা চর্চা করা। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে, যার লক্ষ্য তরুণদের ঐক্য, প্রত্যয় এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নিশ্চিত করা। এই সমাবেশে তরুণরা নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে সরব উপস্থিতি থাকবে।

কর্মসূচির স্থান ও সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশের ৪টি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম কর্মসূচি হবে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগে, ৯–১০ মে, যেখানে ৯ মে কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং ১০ মে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ হবে। দ্বিতীয় কর্মসূচি খুলনা ও বরিশাল বিভাগে, ১৬–১৭ মে, যেখানে ১৬ মে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার এবং ১৭ মে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় কর্মসূচি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে, ২৩–২৪ মে, যেখানে ২৩ মে কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার এবং ২৪ মে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ কর্মসূচি ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে, ২৭–২৮ মে, যেখানে ২৭ মে তারুণ্যের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনায় সেমিনার এবং ২৮ মে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এই কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়, বরং এটি তরুণদের সঙ্গে সংলাপ তৈরি করার একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে এবং জনগণের মতামত সংগ্রহ করে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ও সামাজিক নীতিগুলো মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আরও জনকল্যাণমুখী করা হবে।