রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা এবং কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কক্সবাজার হয়ে কথিত ‘মানবিক করিডর’ চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানও স্পষ্ট হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সাথে আলোচনা করেনি। তবে, জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত। শফিকুল আলম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, দীর্ঘমেয়াদি সংকটের ফলে নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বাংলাদেশে ভারি চাপ সৃষ্টি করবে।
এছাড়া, বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, এই শিক্ষার প্রতি বৈষম্যমূলক নীতির পরিবর্তন করা উচিত এবং সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ড. ভট্টাচার্য আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের কার্যকর মনোযোগ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের শ্রমবাজারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিশ্চিত করা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন