২০২৫ সালের হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের (হিজরি ১৪৪৬) হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উদ্বোধনের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, হজযাত্রীরা যাতে যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে কাজ চলছে। হাজীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে সমস্ত প্রক্রিয়া সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
উদ্বোধনের পর ধর্ম উপদেষ্টা হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানান। তিনি বিশেষভাবে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আজ দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাউদিয়ার প্রথম ফ্লাইট (এসভি ৩৮০৩) ৩৯৮ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪,১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি ফ্লাইট মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক এবং স্বাগত বক্তব্য দেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল আজিজ ফাহাদ এম. আল ইব্রাহিম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার। অনুষ্ঠানে দুজন হজযাত্রী নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং এবারের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ সময় হজ কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন। এর মধ্যে ৫,২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১,৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন। বাংলাদেশ বিমান ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৪,৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২,৭৪০ জন এবং ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩,০৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। মোট ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন সম্পন্ন হবে। ৩১ মে প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে এবং ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবছর হাজীদের সুবিধার্থে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে যেখানে যোগাযোগসহ বিভিন্ন দরকারি ফিচার থাকবে। পাশাপাশি হাজীদের হজ প্রিপেইড কার্ড এবং মোবাইল সিমের রোমিং সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন