২০ বছর কোমায় থাকা সৌদি ‘স্লিপিং প্রিন্স’-এর বয়স হলো ৩৫

সৌদি আরবের প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল গত সপ্তাহে ৩৫ বছরে পা রেখেছেন। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে কোমায় আছেন, যার কারণে তাকে ‘স্লিপিং প্রিন্স’ বা ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’ নামে পরিচিত।
২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যে সামরিক কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনি কোমায় চলে যান। এরপর থেকে রিয়াদের কিং আবদুল আজিজ মেডিকেল সিটিতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে এবং টিউবের মাধ্যমে তাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে।
২০১৫ সালে চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও, তার বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল তাতে সম্মত হননি। তিনি বলেন, “আল্লাহ যদি চাইতেন দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হোক, তাহলে এখন তিনি কবরেই থাকতেন।”
২০১৯ সালে যুবরাজ একবার সামান্যভাবে হাত নাড়ান বা মাথা ঘোরান—এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। তবে তারপর থেকে আর কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এ বছর প্রিন্সের জন্মদিনে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও শুভেচ্ছা জানান। একজন লেখেন, “আশা করি, তিনি শিগগিরই জেগে উঠবেন।” আরেকজন বলেন, “নিশ্চয়ই ওর জ্ঞান ফিরবে। আল্লাহ এই মায়ের আশা পূরণ করুন, আমিন।”
প্রিন্স আল-ওয়ালিদ সরাসরি বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমানের পুত্র বা ভাই নন, তবে রাজপরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তার দাদা প্রিন্স তালাল বিন আবদুল আজিজ আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজের সন্তান। সেই হিসেবে প্রিন্স আল-ওয়ালিদ হচ্ছেন বাদশাহ আবদুল আজিজের প্রপৌত্র এবং বাদশাহ সালমানের ভাতিজা।
আপনার মতামত লিখুন