পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ভারত

পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পূর্ব সীমান্তজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত। নয়াদিল্লির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকাগুলোর প্রতি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কায় নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং ওয়াকফ আইনবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত দাঙ্গার পেছনে সীমান্ত পাড়ের দুষ্কৃতকারীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, যেখানে অন্তত তিনজন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই সহিংসতা উসকে দিতে বাংলাদেশি উপদ্রবকারীরা জড়িত ছিল।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, পূর্ব সীমান্ত ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ বা অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হতে পারে।

এদিকে, পেহেলগাম হামলার পর নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছে ইসলামাবাদ। ইতোমধ্যেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্তে মোতায়েন শুরু করেছে এবং নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা এবং পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলিও বেড়েছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেন, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে সীমিত সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে। এর আগের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীর তিন প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে পেহেলগাম হামলার জবাবে ‘পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলেও পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে ভারত। সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।