ফুড পয়জনিং থেকে রক্ষা পেতে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

তীব্র গরমে ভ্রমণকালে ফুড পয়জনিংয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে, যা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। রাস্তার ফুচকা, স্ট্রিট ফুড বা বিদেশের কোনো রেস্তোরাঁ—যেখানেই খাবেন না কেন, অসাবধানতার কারণে ফুড পয়জনিং হতে পারে। তবে, কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। চলুন, জেনে নিই কীভাবে ফুড পয়জনিং এড়ানো যায় এবং এর চিকিৎসা কী হতে পারে:
১. বেশি বেশি পানি
ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হলে শরীরকে আর্দ্র রাখতে বেশি পানি পান করুন। পানি খেতে গিয়ে যদি বমি আসে, তবে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে পানি খেতে পারেন। এতে শরীরের ইলেকট্রোলাইটের চাহিদা পূরণ হবে।
২. নরম খাবার
ফুড পয়জনিং হলে নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কাঁচকলা ভর্তা দিয়ে ভাত অথবা ‘ব্রাট ডায়েট’ (কলার, ভাত, আপেলের সস ও টোস্ট) অনুসরণ করুন। এছাড়া, লবনযুক্ত বিস্কুট খেতে পারেন, তবে সব খাবার পরিমিত পরিমাণে হওয়া উচিত।
৩. প্রাকৃতিক প্রতিকার
আদা চা, দই বা প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাওয়া শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে, যা ফুড পয়জনিংয়ের চিকিৎসায় উপকারী।
৪. পর্যাপ্ত বিশ্রাম
ফুড পয়জনিংয়ের সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বেশি হাঁটাচলা না করে বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিন। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখারও চেষ্টা করুন।
৫. যা খাবেন না
ফুড পয়জনিংয়ের সময় কিছু খাবার আরো তীব্র অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, সোডা, ঝাল মশলাযুক্ত খাবার, পনির, আইসক্রিম, এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন ব্রকলি বা মটরশুটি এড়িয়ে চলুন।
৬. লক্ষণ পর্যবেক্ষণ
ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ হতে পারে তলপেটের ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, জ্বর, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি। এসব লক্ষণ লক্ষ্য করুন এবং সময়মতো চিকিৎসা নিন।
৭. অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসা নিন
অতিরিক্ত অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন। অচেনা জায়গায় হোটেলের ফ্রন্টডেস্কের সাহায্য নিতে পারেন।
৮. আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা
ভ্রমণের আগে ফুড পয়জনিংয়ের জন্য ওআরএস পাউডার, প্যারাসিটামল, অ্যান্টিসেপটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ওয়াটার পিউরিফিকেশন ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে ফুড পয়জনিংয়ের ঝুঁকি কমিয়ে আপনার ভ্রমণ উপভোগ্য করা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন