জার্মানির ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ দলকে চরমপন্থী ঘোষণার পর রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ৭:০৬ অপরাহ্ণ
জার্মানির ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ দলকে চরমপন্থী ঘোষণার পর রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে

জার্মানির অতি-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (AfD)-কে “প্রমাণিত চরমপন্থী গোষ্ঠী” হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা BfV (Federal Office for the Protection of the Constitution)। গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) প্রকাশিত এই সিদ্ধান্ত দেশটির রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিতর্ককেও উসকে দিয়েছে।

AfD দলের প্রতি সমর্থন সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড ২৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দলটিকে প্রথমবারের মতো জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছে। চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের নেতৃত্বাধীন সিডিইউ/সিএসইউ এখন দ্বিতীয় স্থানে (২৪%) এবং তাদের জোটসঙ্গী এসপিডি মাত্র ১৪% সমর্থন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

BfV জানায়, দীর্ঘ তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে AfD একটি চরমপন্থী জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা অনুসরণ করছে যা জার্মানির গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে। দলটি জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা ছড়ায় এবং অভিবাসনবিরোধী অবস্থান নিয়ে কিছু জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

এই ঘোষণার ফলে জার্মান নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এখন AfD দলের কর্মকাণ্ডের ওপর শক্তিশালী নজরদারি চালাতে পারবে, যার মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন কার্যকলাপ ট্র্যাক করা, এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র পর্যবেক্ষণ করা।

উল্লেখ্য, AfD-কে ২০১৯ সাল থেকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছিল এবং ২০২১ সালে ‘সন্দেহভাজন চরমপন্থী’ তকমা দেয়া হয়। যদিও দলটি এই শ্রেণীবিন্যাসের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছে, কোলন ও মুনস্টারের আদালত BfV-এর সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে ঘোষণা করে।

এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে—একদিকে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসা, অন্যদিকে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সরকারের ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ’ হিসেবে সমালোচনা।