“সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আমরা অতীতে রক্ষা করেছি, ভবিষ্যতেও করবো”—মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এবার আমরা সরকারে থাকি আর না থাকি, অন্যায়ভাবে কারও মত চাপিয়ে দেওয়াকে কখনোই সমর্থন করি না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে আমরা অতীতে ছিলাম, এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”
রবিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নতুন বিষয় নয়। ষাটের দশক থেকেই পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি। তখন সংবাদমাধ্যম ছিল অনেক বেশি দায়িত্বশীল, দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনচেতা।”
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যখন সংবাদমাধ্যম নিজেরা বিভক্ত হয়ে পড়ে—এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোও যুক্ত হয়, যা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না বরং ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে নিজের রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, “সেই যুদ্ধকে ঘিরেই আমাদের চিন্তা আবর্তিত হয়। সেটাই আমাদের মূল ভিত্তি—সেখানে কোনো আপোষ নেই।”
তিনি বলেন, “আমার দলই ১৯৭৫ সালের বাকশাল যুগে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংবাদপত্রগুলোকে আবার চালু করেছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমরা নিখুঁত নই, কিন্তু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আমরা অকৃত্রিমভাবে কাজ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন