দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশের পথে খালেদা জিয়া, আবেগঘন বিদায় লন্ডনে

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে নিয়ে আবেগঘন একটি দৃশ্যের অবতারণা হয় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে। ছেলেকে বিদায় বলতে গিয়ে মায়ের চোখে জল, আর ছেলের মুখে নীরব অভিব্যক্তি— মুহূর্তটি যেন সময়কেও থমকে দেয়। এই বিদায় শুধুই যান্ত্রিক নয়, এটি ছিল হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা এক নীরব আর্তি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান, যারা তাকিয়ে ছিলেন মমতার চোখে, বিদায়ের কষ্ট ছুঁয়ে যাচ্ছিল তাদেরও।

খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিমানে। মঙ্গলবার, ৬ মে, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকে সরাসরি তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় যাবেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি গত ৭ জানুয়ারি ঢাকা ত্যাগ করেন এবং পরদিন লন্ডনে পৌঁছান। সেখানকার লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় স্থানান্তর করা হয়, যেখানে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে হিথ্রো বিমানবন্দরে নিয়ে যান। গাড়ির সামনের আসনে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, আর পেছনে ছিলেন দুই পুত্রবধূ। পুরো যাত্রাটিই ছিল এক আবেগঘন, ভালোবাসার মর্মস্পর্শী অধ্যায়, যা রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিকতার এক অনন্য নিদর্শন হয়ে রইলো।