ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে নতুন নিরাপত্তা মহড়ার প্রস্তুতি: কেন?

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে নতুন নিরাপত্তা মহড়ার প্রস্তুতি: কেন?

১৯৬২, ১৯৭১ এবং এবার ২০২৩—ভারত নিরাপত্তা মহড়া আয়োজনের এক দীর্ঘ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করতে যাচ্ছে। চলতি বছরের ৭ মে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সারা দেশে একটি বড় নিরাপত্তা মহড়ার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও সাধারণ জনগণকে কীভাবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, তা শেখানো।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় সাইরেন বাজত এবং ব্ল্যাক আউটের মতো পরিস্থিতি ছিল। ২০২৩ সালের এই মহড়ায় ভারতীয় নাগরিকদের একই ধরনের প্রস্তুতির মধ্যে রাখতে চাইছে সরকার। মহড়ায় গ্রাম থেকে মহানগর পর্যন্ত দেশের ২৪৪টি সিভিল ডিফেন্স জেলায় অংশগ্রহণকারী নাগরিকদের বিমান হামলার সময় কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, ব্ল্যাক আউটের সময় কী করতে হবে, এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে কীভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে—এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এই মহড়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে উসকানি দিয়ে গুলি চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা মহড়া আয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে, যাতে জনগণ কোনো ধরনের আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ও সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, এই মহড়া মূলত মানুষকে প্রস্তুত রাখা ও সচেতন করার উদ্দেশ্যে। তবে এর মানে এই নয় যে যুদ্ধ আসন্ন। এটি শুধুমাত্র একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, যাতে জনগণ জানে কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে যদি কখনো বড় ধরনের আক্রমণ বা যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

এভাবে, মহড়াটি কোনও সংকেত নয়, বরং ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির একটি অংশ, যা জনগণকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করবে।