নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা: ফের নির্যাতনের শিকার মিয়া শেম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৫:২১ অপরাহ্ণ
নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা: ফের নির্যাতনের শিকার মিয়া শেম

হামাসের হাতে ৫৫ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তি পেয়েছিলেন ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম। বন্দিত্বের সময় ধর্ষণের আতঙ্ক তাঁকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ালেও আশা ছিল, মুক্তির পর নিজ দেশে অন্তত নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু সেই বিশ্বাসও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। সম্প্রতি নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, তেল আবিবের একজন সুপরিচিত ফিটনেস ট্রেইনারের বিরুদ্ধে মিয়া শেম মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার তদন্তে পুলিশ অভিযুক্তকে মার্চের শেষদিকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার (৩ মে) ইসরায়েলের চ্যানেল-১২–এর একটি সাক্ষাৎকারে মিয়া বলেন, সত্য গোপন করে বেঁচে থাকতে চান না তিনি। নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করাই তাঁর সিদ্ধান্ত। তিনি জানান, জিম্মি হওয়ার আগেও ধর্ষণ ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় ভয়। জিম্মি থাকা অবস্থায়ও সেই আতঙ্ক তাঁকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা, নিজের বাসায় এসে যে সেই ভয় বাস্তব হবে, তা কখনো কল্পনাও করেননি।

ঘটনার দিন বিকেলের স্মৃতি অনেকটাই আবছা হয়ে আছে মিয়ার। তিনি বলেন, সেই সময় তিনি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন, প্রশিক্ষক তাঁর কক্ষে ঢুকেছিল এবং ঘরে আরও একজনের উপস্থিতিও টের পেয়েছিলেন। পরে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মিয়াকে তাঁর পরিবার ও বন্ধুরা আগের মতো আচরণ করতে না দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন। মিয়ার মা কেরেন জানান, বন্দিদশা থেকে ফিরে মিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল ছিল ঠিকই, কিন্তু এখন যে ভাঙাচোরা অবস্থায় মেয়েকে দেখছেন, তা আগের চেয়েও ভয়াবহ।

মিয়ার এক বন্ধু জানান, সম্ভবত মিয়াকে কোনো মাদক খাইয়ে এই নির্যাতন চালানো হয়েছিল। মিয়া এরপর পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ তাঁকে যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের জন্য নির্ধারিত একটি সেন্টারে পাঠায়, যেখানে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।

২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা যুদ্ধের প্রথম যুদ্ধবিরতির সময় হামাস প্রায় ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেয়, যার মধ্যে আহত মিয়াও ছিলেন। বন্দিদশা থেকে ফিরে এসে নতুন করে এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাঁকে আবারও মানসিকভাবে চরমভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।