পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রস্তুতি

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ হামলার জেরে পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) এ ঘোষণা দেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ। একইসঙ্গে প্রদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং হাসপাতালসহ জরুরি সেবাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, “ভারত হয়তো এটা শুরু করেছে, কিন্তু আমরা এটা শেষ করব।” তিনি আরও জানান, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “আমরা শান্তি চাই, তবে সেটা সম্মানের সঙ্গে। যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে পুরো দেশ ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”

এর আগে, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের পর দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তীব্র আকার ধারণ করে। ভারত সরকারের দাবি, তারা পাকিস্তানের নয়টি স্থানে হামলা চালালেও, কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি।

অন্যদিকে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারত ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শকরগড় এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মিরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদ। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান রাতেই ভারতের দিকে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের দাবি অনুযায়ী ভারতের পাঁচটি আকাশযান, যার মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।