আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে সরকার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৫:৫৫ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে সরকার

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর যমুনা এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ‘জুলাই আন্দোলন’-সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনগুলোর অবস্থান কর্মসূচির পরদিনই সরকার এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়।

শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং সকল দিক পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণও সরকার আমলে নিচ্ছে। জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রচলিত আইনের আওতায় ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি মো. আবদুল হামিদের আকস্মিক দেশত্যাগ নিয়েও সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এনসিপি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে আসছে। তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ অতীতে গণতন্ত্র ধ্বংস, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের বিবৃতির পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে কি তবে সত্যিই এগোচ্ছে সরকার?