যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৪২ অপরাহ্ণ
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর শনিবার (১১ মে) গভীর রাতে প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি চলমান সংঘাতের অবসানে অর্জিত এই যুদ্ধবিরতিকে ‘পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। খবর বিবিসির।

ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য। পাশাপাশি চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার ও যুক্তরাজ্য-সহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন তিনি।

চীনকে ‘অত্যন্ত কাছের ও বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের শান্তিপ্রচেষ্টায় এই বন্ধুরা গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি এই যুদ্ধবিরতিতে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অধিকারী’ বলেও উল্লেখ করেন।

শাহবাজ শরিফ তার ভাষণে বলেন,

“আমরা শান্তিকামী জাতি। কোটি কোটি মানুষ শান্তিপূর্ণ জীবন চায়। তাই সবাইকে লাভবান করবে—এমন ভাবনাতেই আমরা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তিনি আরও দাবি করেন, এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে পাকিস্তান একটি ঐতিহাসিক কূটনৈতিক ও সামরিক বিজয় অর্জন করেছে। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন,

“তারা দেশের মূলনীতি ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছে।”

ভাষণের শুরুতে তিনি জানান, যদি কেউ পাকিস্তানের স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে প্রয়োজন হলে প্রতিরোধে ‘যা করণীয়, তাই করবে পাকিস্তান’। এছাড়া পাকিস্তানের ওপর ড্রোন হামলা, মসজিদ ধ্বংস এবং নিরীহ মানুষের প্রাণহানির অভিযোগ তোলেন তিনি এবং এসবের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।

তবে ভাষণে তিনি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের যুদ্ধবিরতির শর্ত বারবার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। বরং শাহবাজ শরিফ বলেন,

“এই যুদ্ধবিরতি সকল পক্ষের কল্যাণের জন্যই হয়েছে।”

শেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কাশ্মীর ও পানিবণ্টনের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলো আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব হবে।