সন্দ্বীপে কোরবানির পশু প্রস্তুত ৮৫ হাজার, এবার চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি

আর মাত্র পঁচিশ/ছাব্বিশ দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এ ঈদকে ঘিরে সন্দ্বীপ জুড়ে চলছে কোরবানির পশু প্রস্তুতের ব্যস্ততা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, এবার সন্দ্বীপে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৮৫ হাজার ২৫০টি গবাদিপশু, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার বেশি।
সন্দ্বীপ পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে প্রস্তুত পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৩,৭৭৭টি ষাঁড়, ১০,৯৪৬টি বলদ, ৪,৯১৩টি গাভী, ১২,৫০৮টি মহিষ, ১৪,৪০৬টি ছাগল ও ১৮,৭০০টি ভেড়া।
উপজেলার ডেইরি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া খামার মিলিয়ে মোট নিয়মিত খামার রয়েছে প্রায় ৫৮৫টি। এছাড়া অনেক প্রান্তিক খামারিও এক বা দুইটি করে পশু পালন করছেন। অনিয়মিত অনেক খামারিও ঈদকে কেন্দ্র করে অল্প সময়ের জন্য পশু লালন করছেন।
চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলায় এবার সবচেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত হয়েছে। তবে চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার পশুর, ফলে সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলী আজম জানান, “সন্দ্বীপে পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে, ইনশাআল্লাহ কোনো সংকট হবে না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পশু লালন করা হচ্ছে। খামারিদের রাসায়নিক বা স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট ব্যবহার না করতে সচেতন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।”
তিনি আরও জানান, “ঈদের সময় বাজারগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে, যাতে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পশু কিনতে পারে।”
এদিকে খামারিরা জানাচ্ছেন, এবার পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, কিন্তু যদি ভালো দাম পাওয়া যায় তবে তারা লাভবান হবেন। অনেকেই দেশীয় জাতের গরু লালন করছেন ঘাস, খড় ও পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে।
সন্দ্বীপের খামারিদের আশাবাদ, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে লালিত পশু সঠিক মূল্যে বিক্রি হলে তারা কোরবানির ঈদকে ঘিরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।
আপনার মতামত লিখুন