জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের রায় ১ জুন

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১ জুন রায় ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে ২০২4 সালের ১২ মার্চ আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন, যার মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল, যা চেম্বার আদালতের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
উল্লেখ্য, এক রিটের নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে খারিজ হয়ে যায়, কারণ তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চে শুনানির সময় জামায়াতের প্রধান আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালত ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে এই আদেশ দেয়।
এদিকে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে একই বছরের ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আপনার মতামত লিখুন