সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা ট্রাম্পের, মধ্যপ্রাচ্যে আলোড়ন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) এই ঘোষণা দেন তিনি, যা একদিন পর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়ার সরাসরি বৈঠকের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। দীর্ঘ ২৫ বছর পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এমন ঐতিহাসিক বৈঠক হলো।
রিয়াদে আয়োজিত সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার। বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, সিরিয়াকে একটি “নতুন সূচনা” দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারারকে আহ্বান জানিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্র যাদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে, এমন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোকে সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করতে, আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইএস বন্দিশিবিরগুলোর দায়িত্ব গ্রহণ করতে।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণার পরপরই আরব নেতাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দেয় এবং সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে উদযাপনের আমেজ তৈরি হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, এটি সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
বর্তমানে ট্রাম্প চার দিনের উপসাগরীয় সফরে রয়েছেন। এই সফরে সৌদি আরব এরই মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় চুক্তি করেছে। সফরের পরবর্তী ধাপে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় বৈঠক এবং একাধিক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। সফরের শেষ দিনে ট্রাম্প আবুধাবি হয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন, তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্দেশ্যে তুরস্ক যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন