ঝিনাইদহে তীব্র গরমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে

ঝিনাইদহে তীব্র গরমের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের অভাব ও ডে-শিফটে পাঠদান কার্যক্রম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য এক ধরনের কঠিন পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত ফ্যান নেই। যেখানে ফ্যান রয়েছে, সেগুলো অনেক সময় সচল থাকে না বা ধীরগতিতে চলে। ফলে শ্রেণিকক্ষে বসে শিক্ষার্থীরা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ছে এবং কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমছে।
সদর উপজেলার মুরারীদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেখানে ৪টি ফ্যান থাকা প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৩টি ফ্যান রয়েছে, যাদের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ অচল এবং অন্যটি মাঝে মাঝে কাজ করে। শহরের খান-এ-খোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষও সংকুচিত ও বাতাস চলাচলের উপযুক্ত নয়।
একজন শিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেন, “ডে-শিফটে দুপুরের তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের তপ্ত রোদের মধ্যে বাড়ি ফেরার সময় কষ্ট পোহাতে হয়। তাই প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত ফ্যান ও ডে-শিফট বাতিল করে মর্নিং শিফট চালুর দাবি জানাচ্ছি।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১,৬৭,৪০১ জন। চলমান গরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন