মাগুরায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে এলজিইডির পরিদর্শন ও মনিটরিং টিমের মাঠ পর্যবেক্ষণ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
মাগুরায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে এলজিইডির পরিদর্শন ও মনিটরিং টিমের মাঠ পর্যবেক্ষণ

মাগুরায় গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়নে মাঠে নেমেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পরিদর্শন ও মনিটরিং টিম-১৪।

১৩ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আমিরুজ্জামান ও আইসিটি ইউনিটের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীনুর ফেরদৌস জেলার বিভিন্ন সড়কে সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

তারা মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা ছোট ব্রিজ থেকে দরগাশরীফ রোড, পূর্ব বাড়িওয়ালা মোড় থেকে বানীপুর মাঠ সড়ক, শ্রীপুর উপজেলার চর শ্রীপুর-চর গোয়ালপাড়া সড়ক, সালাম খান হাউজ থেকে বরালীদাহ খাঁ পাড়া সড়ক, মহেশপুর ভিলেজ সড়ক ও গোয়ালদাহ মালাইনগর সড়কসহ একাধিক নির্মাণাধীন ও সদ্য সমাপ্ত সড়ক পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে ছিলেন মাগুরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, মো. মাজেদুল হক এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে এলজিইডি মাগুরার নির্বাহী প্রকৌশলী আ.ন.ম. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, “প্রধান উপদেষ্টার গ্রামকে শহরে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি এ সড়কগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।”

চর গোয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, “আগে কাঁচা রাস্তায় হাটে যেতে এক ঘণ্টা লাগত। এখন পাকা রাস্তা হওয়ায় ১৫ মিনিটেই পৌঁছানো যায়, খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে।”

শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বলেন, “সড়ক উন্নয়নের ফলে বর্ষাকালে আর কোনো দুর্ভোগ নেই। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে আসতে পারছে।”

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মাগুরার চারটি উপজেলায় প্রায় ১৬৪ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পরিদর্শন দলের সদস্য এস এম আমিরুজ্জামান বলেন, “এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান ও অগ্রগতি পর্যালোচনা। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।”