রাজৈরে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ বাজার, প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় যত্রতত্র অবৈধভাবে গড়ে উঠছে হাট-বাজার, যা সরকার অনুমোদিত বাজারগুলোকে দিন দিন অচল করে তুলছে। এসব অবৈধ বাজারে ইজারা বা খাজনার নামে অর্থ আদায় করা হলেও, সেই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যেই এসব বাজার চালালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের উল্লাবাড়ি এলাকায় প্রায় ২০–২৫ বছর ধরে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত একটি অবৈধ বাজার বসে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুখ বাড়ৈ ও তার বড় ভাই সুরেষ বাড়ৈর পৈত্রিক জমি এবং খালের পাড়ে গড়ে ওঠা এই বাজারে মাছ, সবজি, মুদিসামগ্রীসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। বাজারে প্রায় ৪০–৫০টি দোকান বসে এবং মাসিকভাবে এখান থেকে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, সেনদিয়া এলাকাতেও একটি অবৈধ বাজার বসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক তপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বাজার থেকে প্রতিদিন খাজনা তোলার অভিযোগ ওঠেছে। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেন, কিন্তু একাধিক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রতিদিনই তাকে খাজনা দিতে হয়।
এ বিষয়ে খালিয়া ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, “এই বাজার সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি এসব বাজারের সাথে যোগাযোগ করিনি, তাই মন্তব্য করতে পারছি না।”
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, “আমি রাজৈরের বিভিন্ন এলাকায় এমন ছোট বাজার বসার কথা শুনেছি, তবে খাজনা তোলার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো বাজার বসানো অবৈধ। বাজার বসাতে হলে অনুমোদন, জমি দান ও ইজারা নিয়ম মেনে চালাতে হবে। আমি দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয়দের দাবি, এসব অবৈধ বাজারের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অথচ প্রশাসনের চোখের সামনে এসব কার্যক্রম চালু থাকলেও কোনো ধরনের নজরদারি বা অভিযান দেখা যাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন