“দুর্নীতির টাকা দিয়ে বাংলাদেশ স্বর্ণে মোড়ানো যেত” — দুদক কমিশনার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
“দুর্নীতির টাকা দিয়ে বাংলাদেশ স্বর্ণে মোড়ানো যেত” — দুদক কমিশনার

দুর্নীতির ভয়াবহতা তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ বলেছেন, “৭১ সালের পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ দেশে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, সেই অর্থ দিয়ে পুরো বাংলাদেশ স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো যেত। দুর্নীতি ছিল শোষণের হাতিয়ার।”

সোমবার (১৯ মে) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দুদকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন আগের যেকোনো কমিশনের চেয়ে আলাদা। যদি এই কমিশন অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’”

দুদক কমিশনার জানান, দুর্নীতি এখন আর শুধু জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা বা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটা সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। “দুর্নীতির কারণে দেশ চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে, যা ২০২৪ সালেই স্পষ্টভাবে বোঝা গেছে।”

তিনি ঘুষ না দিতে নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যারা ঘুষ খায়, তারা অমানুষ। ঘুষ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, প্রতিবাদ করুন, চিৎকার করুন। সবাই একসঙ্গে প্রতিবাদ করলে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হবে। একসময় আর দুদকের প্রয়োজনই থাকবে না।”

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে আরও বক্তব্য দেন—দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাফি নাজমুস সাদাত এবং জেলা দুপ্রক সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মহিবুল ইসলাম।

গণশুনানিতে জেলার হাসপাতাল, পৌরসভা, বিদ্যুৎ বিভাগ, এলজিইডি, নির্বাচন কার্যালয়, বিআরটিএ, ভূমি অফিসসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়ে ভূমি সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা এসব অভিযোগের জবাব দেন এবং করণীয় সম্পর্কে জানান।