মে মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

গত পাঁচ বছরে মে মাসেই সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও মে মাসে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে দুটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে, যা উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য উদ্বেগজনক।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানান, আগামী ২৭ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে যে কোনো সময় বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি, একই সময়ে আরব সাগরেও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেটি আগে এবং বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি পরে সৃষ্টি হবে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক তালিকা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমে প্রথম দুটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘শক্তি’ ও ‘মন্থা’। যে সাগরে আগে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে, সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘শক্তি’ এবং দ্বিতীয়টির নাম হবে ‘মন্থা’।
মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির গতি ও শক্তিমত্তা অনেকটাই নির্ভর করছে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়ের আচরণের ওপর। যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তাহলে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিষয়ক মডেলগুলোর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৯ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, এমন সতর্কতাও দিয়েছেন গবেষক।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৩ সালের ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ দেশের উপকূলে আঘাত হানে। এর আগেও মে মাসেই ‘আম্পান’ ও ‘মোখা’র মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালিয়েছিল উপকূলজুড়ে। ফলে মে মাস ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আশঙ্কার সময় হিসেবেই বিবেচিত হয়ে উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন