সিলেটে বিএনপির সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য

বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে—এ মন্তব্য করে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় ব্যবস্থা বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হতো না।

রোববার বিকেলে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে একনায়কতান্ত্রিক সংবিধান বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনিই সংবিধানে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” সংযুক্ত করে আল্লাহর ওপর জাতির আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ধর্ম-বর্ণ, ভাষা বা জাতির ভিত্তিতে বিভেদ নয়—এই বাংলাদেশি পরিচয়ের ভিত্তিতেই তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ার মুহূর্তেই জিয়াউর রহমান কুচক্রী মহলের হাতে শাহাদাত বরণ করেন, কিন্তু জাতির হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

তিনি বলেন, যে কেউ যদি নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেন, তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবেন। বিএনপি এই দেশের প্রতিটি ধূলিকণাকে ধারণ করে, লালন করে। আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সদস্য সংগ্রহে কি এতটাই সংকট এসেছে যে গণতন্ত্রবিহীন আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য নিতে হবে? তিনি দাবি করেন, গত ৫ আগস্ট জনগণ আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে, তারা ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যাকারী, তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে।

তারেক রহমানের ২০২৩ সালের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হবেই এবং যেসব শক্তি গুম, খুন ও দমন চালিয়েছে, তাদের একদিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত, উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও শাম্মী আক্তার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহিম রিপন, আব্দুল হক, নুরুল ইসলাম ও সৈয়দ আরাফুল কবির খোকন।