জ্যৈষ্ঠে অপরিপক্ব ফল বিক্রির অভিযোগে উদ্বেগ: বরিশালের বাজারে কেমিক্যালযুক্ত ফলের প্রচার

জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় ‘মধু মাস’ কারণ এই সময়ে মিষ্টি ও মৌসুমী ফলের প্রচুর সমাহার থাকে। কিন্তু বরিশালের বিভিন্ন বাজারে এখন অপরিপক্ব আম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা ফল বিক্রি হচ্ছে, যা কৃত্রিমভাবে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার লোভে এ ধরনের ফল বাজারজাত করছে, ফলে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন।
বরিশালের পোর্ট রোড এলাকার ফলের আড়তে দেখা গেছে, ফলগুলোতে সাদা পাউডারের প্রলেপ রয়েছে এবং কেমিক্যাল মোড়ানো অবস্থায় রাখা। এসব ফল প্লাস্টিকের ঝুড়িতে রাখা হয় এবং এসব কেমিক্যালযুক্ত ফল জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফল বিক্রেতারা বলেন, মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি থাকায় মুনাফার আশায় অপরিপক্ব ফল দ্রুত পাকাতে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ইথিলিন গ্যাসের মতো কেমিক্যাল ফল দ্রুত পাকাতে সাহায্য করে, কিন্তু এগুলো人体ের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে ত্বকে জ্বালা, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বাজারে কেমিক্যালযুক্ত ফলের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। তবে বিএসটিআই এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই কেমিক্যাল পরীক্ষা করার জন্য যথাযথ যন্ত্র বা জনবল না থাকায় কাজ সীমিত বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও পরীক্ষা করার উপযুক্ত যন্ত্রের অভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে এবং তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কেমিক্যালযুক্ত ফল বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন। তারা বলছেন, যারা কেমিক্যাল দিয়ে ফল পাকিয়ে বাজারে আনছে, তারা মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে খেলা করছে এবং এর বিরুদ্ধে তৎপর হওয়া জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন