বগুড়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, গুরুতর আহত যুবক চিকিৎসাধীন

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় চলন্ত ট্রেনের দরজা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। গত রোববার (১৮ মে) দুপুরে নসরতপুর রেলস্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই যুবকের নাম মতিউর রহমান, যিনি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি বগুড়ার একটি ক্লিনিকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে লোক পাঠানোর ব্যবসা করে আসছেন। তার মাধ্যমে দুই বছর আগে সজীব নামের এক যুবক সৌদি আরবে গিয়েছিল। কিন্তু সজীব সৌদিতে প্রয়োজনীয় ইকামা (কাজের সুপারিশ সনদ) না পেয়ে তার পরিবারের সঙ্গে মতিউরের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে সজীবের নির্দেশে কয়েকজন যুবক গত রোববার মতিউরকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে।
মতিউরের ছেলে আহসান হাবিব জানান, ‘বগুড়া থেকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনে সান্তাহারে আসার পথে নসরতপুর রেলস্টেশনে তার বাবাকে থাকা কামরায় ১০ থেকে ১২ জন যুবক মারধর করে। একপর্যায়ে চলন্ত ট্রেন থেকে দরজা দিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। রেললাইনে পড়লেও ট্রেনের চাকা তার শরীরের ওপর দিয়ে না যাওয়া ভাগ্যের বিষয়। তবে পা ভেঙে গেছে।’
আহত মতিউরকে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর কেউ মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছে আহসান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সজীবের চাচা জাহাঙ্গীর আলম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মতিউর আমার ভাতিজা সজিবকে সৌদিতে পাঠিয়েছিল, কিন্তু ইকামা না পাওয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মতিউরের বিরুদ্ধে ট্রেনে মারধর ও ফেলে দেয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা রাখি না।’
ঘটনার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন