বরিশাল সদর উপজেলায় কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে অবৈধ মাটি কাটার অভিযোগ

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে ব্যাপকভাবে ফসলি জমি ও নদীচরের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব মাটি আশপাশের ইটভাটায় পাঠানো হচ্ছে, যেখানে ইতোমধ্যে ইট তৈরি শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন, এই মাটি কাটার ফলে বেড়িবাঁধ, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো নজরদারি নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলায় বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। অধিকাংশ ইটভাটা মালিক ফসলি জমি বা নদীর চর থেকে বেআইনিভাবে মাটি সংগ্রহ করছেন। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফুজি ব্রিকস, সিগমা ব্রিকস, সিকো ব্রিকসসহ কয়েকটি ইটভাটার জন্য নিয়মিত কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তা রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষার শুরুতেই এ অঞ্চলে মাটি কাটার কার্যক্রম শুরু হয়, এবছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় ১৫-২০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে ট্রলারে পরিবহন করা হচ্ছে চরমোনাই ও চরকাউয়া এলাকার ইটভাটায়।
ফুজি ব্রিকসের মালিক নুরু মিয়া বলেন, তারা জমি কিনে মাটি কাটছেন। তবে নদী তীর থেকে মাটি কাটার বৈধতা সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।
বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম জানান, নদী পাড়ের জমি থেকে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। কেউ এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন