বাংলাদেশে চালু হলো স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে। শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টারলিংকের সেবা নিতে ব্যবহারকারীদের সরাসরি ওয়েবসাইট (starlink.com) এ গিয়ে ‘রেসিডেনশিয়াল’ অপশনে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে। এরপর ‘অর্ডার নাউ’ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করে অর্ডার চূড়ান্ত করতে হবে। অর্ডার নিশ্চিত হওয়ার পর ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংযোগ সেট গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
ডিভাইসটি ব্যবহারকারী নিজেই সহজে সেটআপ করতে পারবেন বলে স্টারলিংক কর্তৃপক্ষের দাবি।
প্রাথমিক খরচ:
- এককালীন ডিভাইস সেটআপ খরচ: ৪৭,০০০ টাকা
- মাসিক খরচ:
- ‘রেসিডেন্স’ প্যাকেজ: ৬,০০০ টাকা
- ‘রেসিডেন্স লাইট’ প্যাকেজ: ৪,২০০ টাকা
বর্তমানে শুধুমাত্র স্থায়ী সংযোগ (রেসিডেন্সিয়াল) অনুমোদিত, ভ্রাম্যমাণ সংযোগ (‘রোম’ সার্ভিস) বাংলাদেশে চালু হয়নি।
ভাগাভাগি করে ব্যবহার:
একটি সংযোগ দিয়ে একটি এলাকায় একাধিক পরিবার ইন্টারনেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবে। শহরে ২০-৫০ মিটার, গ্রামীণ এলাকায় ৫০-৬০ মিটার পর্যন্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, স্টারলিংকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলগুলোতে ডিজিটাল সংযুক্তি সহজ হবে, যেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছায় না।
স্টারলিংক জানিয়েছে তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতিতে সীমাহীন ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় স্টারলিংক বাণিজ্যিক সেবা চালু রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন