কক্সবাজারে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি বিভ্রান্তিকর তথ্য: রিউমর স্ক্যানার

কক্সবাজারে সাম্প্রতিক মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর স্থাপনের উদ্দেশ্যে কোনো তৎপরতা চলছে কিনা—তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে। তবে বিষয়টি নিয়ে ছড়ানো তথ্যকে বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
তদন্তে জানা গেছে, এই মার্কিন বাহিনীর দল কক্সবাজারে এসেছিল মূলত দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত উদ্ধার করার জন্য বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। গত ১৮ মে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চার দিনব্যাপী ছিল এবং শেষ হয় ২১ মে।
রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক টিম জানায়, এই ধরনের প্রশিক্ষণ নতুন নয় বরং গত কয়েক বছর ধরেই ইউএস অ্যাম্বাসির উদ্যোগে এমন প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়ে আসছে। অতএব, মার্কিন সেনা উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে যেসব গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে, তা সত্য নয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, গত এক বছর ধরে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে ঘিরে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের প্রবণতা বেড়েছে। শুধু এপ্রিল মাসেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুয়া ও ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে তারা। এতে স্পষ্ট হয়, পরিকল্পিতভাবে দেশি-বিদেশি একটি মহল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব ও অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে।
রিউমর স্ক্যানার বলছে, এমন প্রেক্ষাপটে জনসচেতনতা ও তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব আরও বেশি বেড়েছে। বিভ্রান্তি এড়াতে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করে শেয়ার করাই এখন সময়ের দাবি।
আপনার মতামত লিখুন