অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা এবং জবাবদিহিমূলক সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরলেন তারেক রহমান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ণ
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা এবং জবাবদিহিমূলক সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের জনগণ এই সরকারের অধীনেই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পুনরায় আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “সরকারের করুণা নয়, জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া সরকারের কর্তব্য। গঠনমূলক সমালোচনা একটি গণতান্ত্রিক চর্চা, যেটি যে কোনো ধরনের সরকার—নির্বাচিত, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক—হোক, মেনে চলতে হবে।”

তিনি বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গে বলেন, “দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নামছেন, কিন্তু তাদের কথা শোনার কেউ নেই।”

এনবিআরের হঠাৎ সংস্কার এবং বাজেট পাসের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্তকে ‘অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবিক প্রয়োগেই সংস্কারের সার্থকতা নিহিত।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বৈধ হতে পারে, তবে এটি জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়। ফলে সরকারকে স্বচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগোতে হবে, না হলে কোনো উদ্যোগই কার্যকর বা টেকসই হবে না।”

এই বক্তব্যে তিনি একটি শক্তিশালী, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার গুরুত্ব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনের জন্য অবাধ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরেন।