ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় ৯০ ট্রাক ত্রাণ জাতিসংঘকে হস্তান্তর করেছে

সীমিত পরিসরে অবরোধ শিথিলের তিন দিন পর, ইসরায়েল গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো ৯০টি ত্রাণবাহী ট্রাক জাতিসংঘের দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) রাতে কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে এই ট্রাকগুলো গাজার ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।

তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনাহারে গত দুই দিনে আরও ২৯ জন মারা গেছে, যাদের বেশির ভাগ শিশু। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজেদ আবু রমজান রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ না হলে গাজার ২১ লাখ মানুষ চরম অনাহারের ঝুঁকিতে পড়বে এবং অনাহারে মৃত্যু বাড়বে।

জাতিসংঘের ইনটিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ৫ লাখ মানুষ অনাহারে পড়তে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টন খাবারসহ ৬ হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রস্তুত রয়েছে। এই পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছালে দুই মাস গাজার বাসিন্দাদের খাদ্য সংকট নিরসন সম্ভব হবে।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন বেকারিতে ত্রাণের জন্য আটা পাঠানো হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানায়, গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ হলো নিরাপত্তাজনিত বাধা এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের একমাত্র অনুমোদিত পথের সীমাবদ্ধতা।

২০ মে পর্যন্ত গাজায় ত্রাণবাহী ৯৩টি ট্রাক প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ৯০টি জাতিসংঘের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনটির তথ্য প্রকাশ হয়নি। নেতানিয়াহু প্রশাসন জানিয়েছে, ৯৩ ট্রাকের বাইরে আরও ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক কেরেম শালোম দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণের তুলনায় এই পরিমাণ খুবই নগণ্য। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আগ্রাসনের আগে প্রতিদিন গাজায় প্রায় ৫০০ ট্রাক ত্রাণ আসত, যা এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনেক কম।