ড. ইউনূস সফল হোক, তবে আন্দোলনের বিকল্প নেই — গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি চাইলে আগামীকালই রাস্তায় নামতে পারে এবং সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৪ ঘণ্টাও টিকতে পারবেন না। তবে বিএনপি ড. ইউনূসের সফলতা চায়, কারণ তার সফলতাই দেশের রাজনীতিতে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের দিকনির্দেশনা দিতে পারে।

রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও” আন্দোলনের আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে।

গয়েশ্বর বলেন, “আজ যারা জুলাই আন্দোলনের মুকুট চায়, তাদের সেই মুকুট অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে—আমরাও দিয়েছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, কিন্তু মন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে যাইনি। এখন অনেকে অহেতুক সচিবালয়-ডিসি অফিসে যাতায়াত করে—যেটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা।”

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তার ভাষায়, “দেশে দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। হাসিনার আমলের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এই সরকার তাদের ধরতেও চায় না, বিচার তো দূরের কথা।”

গয়েশ্বর রায় বলেন, “মানুষ বলছে, ড. ইউনূস যত সুবিধা নেওয়ার দরকার, নেবেন; কিন্তু দেহত্যাগ করলেও পদত্যাগ করবেন না।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি বাংলাদেশে বন্দর চালানোর মতো দক্ষ লোক না থাকে, তাহলে বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনার চিন্তা করা যেতে পারে—যেমন গার্মেন্টস খাতে করা হয়েছিল।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু।

এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর এবং দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।